অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় বানের পানিতে তলিয়ে যাওয়া বৃদ্ধ ও শিশুসহ এ পর্যন্ত ১৯ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি সাতকানিয়া উপজেলায় ১০ জনের মরদেহ পাওয়া যায়। এছাড়া লোহাগাড়া উপজেলায় চারজন, চন্দনাইশ উপজেলায় দুজন এবং আনোয়ারা, রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলায় একজন করে মোট তিনজনের মরদেহ পাওয়া যায়।
শনিবার (১২ আগস্ট) পর্যন্ত চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় খবর নিয়ে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সাতকানিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়াসির আরাফাত ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত সপ্তাহের বিভিন্ন সময়ে সাতকানিয়ায় যাদের মরদেহ পাওয়া গেছে তারা হলেন– পৌরসভার কামাল উদ্দিনের ছেলে মো. সাকিব (১৭), সোনাকানিয়া ইউনিয়নের ফজল করিমের ছেলে হেলাল (৪৫), চরতী ইউনিয়নের মো. সেলিমের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস (৪), একই ইউনিয়নের কবির আহমদের ছেলে আবদুর রহিম (৪৫), নলুয়া ইউনিয়নের মনিন্দ্র লাল কারণের স্ত্রী শোভা কারণ (৯০), পৌরসভার আবদুর রাজ্জাকের ছেলে মো. ইদ্রিস, পৌরসভার ডা. সৈয়দ আহম্মদের ছেলে বদিউল আলম (৬২), চরতী ইউনিয়নের মো. সেলিমের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম (৩), কাঞ্চনা ইউনিয়নের মো. আরিফের মেয়ে সানজিদা আক্তার (৪) ও কালিয়াইশ ইউনিয়নের ফজল আহমদের ছেলে ইদ্রিস (৫৫)।
লোহাগাড়া থানার ওসি রাশেদুল ইসলাম জানান, লোহাগাড়ায় মোট চারজনের মরদেহ পাওয়া গেছে। তারা হলেন– আমিরাবাদ ইউনিয়নের জুলফিকার আলী ভুট্টুর ছেলে জুনায়েদুল ইসলাম জারিফ (২২), একই ইউনিয়নের সামশুল ইসলামের ছেলে মো. সাকিব (২০) এবং পদুয়া ইউনিয়নের কালু মিয়ার ছেলে আশরাফ মিয়া (৫৫) ও একই ইউনিয়নের রহিম বক্সের ছেলে আবদুল মাবুদ (৫০)।
চন্দনাইশ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন জানান, গত ৯ আগস্ট উপজেলার দোহাজারী পৌরসভার জামিজুরী এলাকা থেকে আনাস (১০) নামে এক শিশু এবং পরদিন তার দাদা আবু সৈয়দের (৮৩) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে গত ৭ আগস্ট পানিতে ডুবে থাকা নালায় তলিয়ে যাওয়া নিপা পালিত (২০) নামে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর ৯ আগস্ট রাউজান উপজেলার হালদার নদীর শাখা খালে তলিয়ে যাওয়া শাহেদ হোসেন বাবু (৩৮) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া গত ১১ আগস্ট আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদণ্ডী ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড থেকে মো. খোকনের (৩৮) নামে একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। তার বাড়ি চন্দনাইশ উপজেলার ধোপাছড়ি ইউনিয়নে।
Leave a Reply